আন্তর্জাতিক

ক্ষমতায় ফিরতে চান গাদ্দাফির ছেলে

নিহত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি লিবিয়ার ‘হারানো ঐক্য ফিরিয়ে’ আনতে চান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

সাইফ আল-ইসলামের অবস্থান নিয়ে অনেক বছর ধরেই ধোঁয়াশা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হুলিয়া জারি আছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তারা লিবিয়ার পশ্চিমের এলাকা জিনতানের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন সাইফ।

সাক্ষাৎকারে ৪৯ বছরের সাইফ বলেছেন, রাজনীতিবিদরা গত এক দশকে লিবিয়ার জন্য দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনেনি।

তিনি বলেছেন, ‘এখন অতীতে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। দেশ এখন হাঁটুর ওপর...কোনো অর্থ নেই, নিরাপত্তা নেই। এখানে কোনো জীবন নেই।’

২০১১ সালে মার্কিন সহায়তায় বিদ্রোহীরা গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ওই সময় গাদ্দাফি ও তার সন্তানকে হত্যা করা হয়। তবে বড়ছেলে সাইফকে বিদ্রোহীরা ২০১১ সালের নভেম্বরে আটক করে। তবে তাকে কারো কাছেই হস্তান্তর করেনি বিদ্রোহীরা। সাইফের অনুপস্থিতিতেই ত্রিপোলির একটি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

সাইফ আল ইসলাম সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি এখন মুক্ত মানুষ এবং তাকে যারা আটক করেছিল এখন তারা বন্ধু হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তারা বুঝতে পেরেছে তিনি তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারেন।

এই মুহূর্তে লিবিয়ার ক্ষমতায় রয়েছে দুটি পক্ষ। দুই পক্ষ বিদেশি ও স্থানীয় মিলিশিয়া মদদপুষ্ট। গত বছরের অক্টোবরে তুরস্ক সমর্থিত ত্রিপোলির জাতীয় ঐক্যের সরকার ও পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে দেশটির পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।