আন্তর্জাতিক

তালেবানের ওপর হামলায় তালেবানেরই কৌশলে আইএস

আফগানিস্তানে গত ১৫ আগস্ট পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করেছে তালেবান। এরই মধ্যে তাদেরকে অভ্যন্তরীণ শত্রুকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর এই শত্রু হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একসময় পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে কৌশল অবলম্বন করেছিল তালেবান সেই একই কৌশলে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইএস

গত মাসে কাবুল বিমানবন্দর ও পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী। ক্ষমতায় বসতে না বসতেই আইএস সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো তালেবানের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

অবশ্য তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এই হুমকিকে খাটো করেই দেখেছেন। গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আইএসের কার্যকর উপস্থিতি নেই। তবে মাঠে থাকা কমান্ডাররা আইএসের মাথাচাড়া দেওয়াকে খাটো করে দেখছেন না।

তালেবানের গোয়েন্দা সংস্থার দুই সদস্য জানিয়েছেন, আইএস সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো গেরিলা কৌশল বেছে নিয়েছে। তাদের এই কৌশল বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও তাদের একটি অঞ্চল দখলের মতো পর্যাপ্ত যোদ্ধা ও সরঞ্জাম নেই।

এর আগে তালেবানরা সাবেক সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য গাড়ির নিচে ম্যাগনেটিক বোমা যুক্ত করতো। আইএসও সেই একই কৌশল বেছে নিয়েছে তালেবানদের ওপর হামলার জন্য।

তালেবানের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কাবুলে শত্রুদের ওপর হামলার জন্য আমরা যেসব ম্যাগনেটিক বোমা ব্যবহার করতাম, এখন সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ভীত। আমরা আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারা যদি এদের সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে তারা নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে।’

২০১৪ সালে আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করে ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান। ২০১৮ সালের দিকে গোষ্ঠীটি তালেবান ও মার্কিন বাহিনীর তীব্র হামলার শিকার হয়।

নানগরহার প্রদেশে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার ইসলামিক স্টেট অব খোরাসানের তিন সদস্যকে হত্যা করেছে। গোষ্ঠীটি এখনও ছোটখাটো হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা রাখে।

তালেবান নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের মূলকাঠামো ভেঙ্গে গেছে এবং তারা হামলা চালানোর জন্য ছোটখাটো দলে ভাগ হয়ে গেছে।’