আন্তর্জাতিক

জলবায়ু সম্মেলন: ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধের প্রতিশ্রুতি

বিশ্বের শতাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনের প্রথম চুক্তি হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

খবরে বলা হয়, বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং চুক্তি অনুযায়ী বনাঞ্চলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল গঠন করা হবে।

বিবিসি জানায়, দাবানল নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি সংস্কার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যথাযথ নিরাপত্তায় ব্যয় করার জন্য এই তহবিলের অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোও পাবে। এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং থাকছেন। এছাড়া ব্রাজিল, কানাডা, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। পৃথিবীর মোট বনভূমির প্রায় ৮৫ শতাংশই এই চার দেশে রয়েছে। এছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্তৃত ঘন বন অ্যামাজন ব্রাজিলে। দেশটি সম্প্রতি বন উজাড়ের মাত্রা কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে।

বন উজাড় থামানোর এই চুক্তির অংশ হিসেবে ২৮টি দেশের সরকার পাম তেল, সয়া এবং কোকোয়ার মতো খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দেবে। এসব শিল্প ফসল উৎপাদনের জন্য বনভূমি উজাড় করে থাকে।

এছাড়া বিশ্বের ৩০টিরও বেশি বড় কোম্পানি বন উজাড় হয় এমন সব প্রকল্প বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দেবে।