ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি রাশিয়াকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের স্বাধীনতা অন্য কাউকে হরণ করতে দেব না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানিরা যা করেছিল এখন ঠিক একই কাজ করছে রাশিয়া।’
ইউক্রেনের নেতা যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রক্তদাতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে যারা দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত তাদের সাধারণ ক্ষমার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা আরআইএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মস্কো যে অভিযান পরিচালনা করছে তাতে রুশ নীতিতে অবশ্যই যৌক্তিকতা রয়েছে।
এদিকে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার মুখে ইউক্রেনের সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যেতে শুরু করেছে- মস্কোর এমন দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, তাদের বাহিনী রুশ সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা অনেক এলাকায় রুশ বাহিনীর অগ্রগতি প্রতিহত করছে।
বুধবার রাতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে মস্কোর সেনারা।
সূত্র: দ্য মস্কো টাইমস