আন্তর্জাতিক

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘ঐতিহাসিক’ 

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আবেদনের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানায়।

জো বাইডেন বলেন, উত্তরের এই দুই দেশের অন্তর্ভুক্তিতে ন্যাটোর নিরাপত্তা পরিসর একদিকে যেমন বাড়বে, তেমনি দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো বেগবান হবে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ন্যাটোতে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি কোনো দেশের জন্য নিরাপত্তা হুমকি নয়। যেকোনো ধরনের আগ্রাসন থেকে রক্ষাই ন্যাটোর মূল লক্ষ্য। এমন ঐতিহাসিক দিনে কারো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না।

এসময় ন্যাটোতে তাদের যোগদানের প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করতে প্রয়োজনীয় সব নথি মার্কিন কনগ্রেসে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বাইডেন।

এর আগে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির আলোচনার প্রথম ধাপ শেষ করা হবে। কিন্তু তুরস্কের বাধার মুখে দেশ দুটি আদৌ সদস্য হতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ন্যাটোর গঠনতন্ত্রে বলা আছে, কোনো দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তবে জোটের ৩০ সদস্য দেশের সবাইকে একমত হতে হবে। প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এই অনুযায়ী তুরস্ক যদি ভেটো প্রদান অব্যাহত রাখে তাহলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া অসম্ভব। এই জোট ঐকমত্যের নীতিতে কাজ করে। প্রতিটি সদস্যের তাই ভেটোর অধিকার রয়েছে। 

ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশ হচ্ছে- আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।