আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের বিচার করতে পারবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারিক রয়েছে। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) বিচারকরা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

আইসিজের এই রায়ের ফলে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের বিচার করার প্রক্রিয়া শুরুর পথ পরিষ্কার হলো।

মিয়নমারের দাবি, তারা যেহেতু আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সদস্য নয়, সেহেতু তাদের বিচার করার এখতিয়ার এই আদালতের নেই।

কিন্তু বিচারক জোয়ান ডনোগু বলেছেন, ১৩ জন বিচারক প্যানেল দেখেছে যে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের সব সদস্য গণহত্যা প্রতিরোধে কাজ করতে পারে এবং তা করা বাধ্যতামূলক। এই মামলায় আদালতের এখতিয়ার রয়েছে।

রায়ের সারাংশে তিনি বলেছেন, ‘গাম্বিয়া, গণহত্যা কনভেনশনের একটি রাষ্ট্রীয় পক্ষ হিসাবে, দাঁড়িয়েছে। আদালত এখন মামলার যোগ্যতা শুনানির জন্য এগিয়ে যাবে, এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক এবং দেশগুলো সাধারণত এসব সিদ্ধান্ত মেনে চলে। কিন্তু আদালতের ক্ষমতা সীমিত হওয়ায় এগুলো কার্যকর করার কোনও উপায় নেই।