আন্তর্জাতিক

‘তেল নিয়ে রাজনীতি করছে না সৌদি’

জ্বালানি তেল নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। রোববার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর এ দাবি করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বিরোধিতা সত্ত্বেও গত সপ্তাহে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ওপেক প্লাস। তবে হোয়াইট হাউস তেলের উৎপাদন না কমাতে ওপেককে বেশ ভালোই চাপ দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সেই চাপের কাছ নতি স্বীকার না করে উৎপাদন কমিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট।

ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুবেইর বলেছেন, ‘সৌদি আরব তেল নিয়ে রাজনীতি করে না। তেল একটি অস্ত্র নয়... আমরা তেলকে একটি পণ্য হিসাবে দেখি এবং আমরা একে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখি যেখানে আমাদের একটি বিশাল অংশীদারিত্ব রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধন ব্যবস্থাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে বা রাজনৈতিকভাবে জড়িত থাকার জন্য এটি করবে এমন ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। যথাযথ সম্মানের সাথে বলছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যের কারণ হচ্ছে আপনাদের পরিশোধন ঘাটতি রয়েছে যেটি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান, আপনি কয়েক দশকেও নতুন শোধনাগার তৈরি করেননি।’

সৌদি মন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে আপনাদের বেশ কয়েকটি শোধনাগার রয়েছে যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। পরিশোধন ক্ষমতার এই ঘাটতির কারণে আপনাদের পেট্রোলের ঘাটতি রয়েছে এবং পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত তেল সরবরাহ এবং চাহিদার মৌলিক বিষয়গুলির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

উচ্চ চাহিদা ও কঠোর বৈশ্বিক পরিশোধন সরবরাহের কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেট্রলের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু জুন মাসের পর দাম কমতে শুরু করেছিল। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি গ্যালন ৩ ডলার ৬৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তেলের দাম আরও ২০ সেন্ট বেড়েছে।