আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ, কঠিন পরীক্ষায় বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। দুই বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়ে মনোভাব জানাবে দেশটির জনগণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের ওপর বাইডেনের বাকি মেয়াদ কেমন যাবে তা অনেকাংশে নির্ভর করবে। যদি রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণ পায় বিভিন্ন ইস্যুতে বাইডেন বিপদে পড়বেন। আইন পাশ করতেও বাধার মুখে পড়বেন বাইডেন প্রশাসন।

গত দুই বছর ধরে হাউজ ও সিনেট উভয়কক্ষেই ডেমোক্র্যাটিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছেন। ফলে আইন পাশ করা বাইডেনের পক্ষে অনেকটা সহজ ছিল।

জরিপে দেখা গেছে, প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন রিপাবলিকানরা। অপরদিকে সিনেট ধরে রাখতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা।

এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। জনগণকে তারা দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগে জনপ্রিয়তা ফিরে পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। রয়টার্স-ইপসোস পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের পারফরম্যান্সে খুশি। জুনের শুরুর দিকে থেকে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দুই দিনের জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশ নেওয়া ৭৮ শতাংশ সমর্থক বাইডেনের ওপর খুশি। গত মাসে এ সংখ্যা ছিল ৬৯ শতাংশ।

অপরদিকে গ্যালাপের জরিপে দেখা গেছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকান প্রার্থীরা বিজয়ী হলে পরবর্তী নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

কঠিন পরীক্ষায় বাইডেন এই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জয় হলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপাবলিকান নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও মার্কিন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। ভোটের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যস্ত সময় পার করেন। রিপাবলিকানরা নিম্ন প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিনিয়ে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ডেমোক্র্যাট ভয় পাচ্ছেন যে সিনেটও এমন ফলাফল হতে পারে। যা বাইডেনের শত্রু শিবির অর্থাৎ রিপাবলিকানরা পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারে।

মধ্যবর্তী নির্বাচন কী? যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও সংসদীয় ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই নির্বাচন। সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ-দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করে কংগ্রেস। এজন্য দুটি কক্ষ আলাদাভাবে কাজ করে। কোন আইনগুলো অনুমোদনের জন্য সিনেটে উঠবে তা নির্ধারণ করে নিম্নকক্ষ। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে দুই বছর পর হয় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন। ডেমোক্র্যাট না রিপাবলিকান-এবার কাদের দখলে থাকছে কংগ্রেস, তা আজকের ভোটে নির্ধারিত হবে।