আন্তর্জাতিক

‘মালয়েশিয়ার বিমান ধ্বংসে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে পুতিনের অনুমোদন ছিল’

২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার ফ্লাইট এমএইচ১৭ ধ্বংসে যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ব্যাপারে শক্তিশালী ইঙ্গিত রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা দাবি করেছেন।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭ ইউক্রেনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়। ওই সময় দাবি করা হয়েছিল, রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভুল করে ফ্লাইটটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। গত বছরের নভেম্বরে নেদারল্যান্ডসের আদালত ওই মামলার রায়ে দুই রুশ ও এক ইউক্রেনীয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

বুধবার আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এমন প্রমাণ রয়েছে যে, পুতিন মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে তিনি বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিতের নির্দেশ দিয়েছিলেন এ ধরনের কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।

একটি বিবৃতিতে যৌথ তদন্ত দল বলেছে, আদালত রায় দিয়েছে যে, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের উপর মস্কোর ‘সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ’ ছিল। রেকর্ড করা টেলিফোন কথোপকথনে শোনা গেছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, সামরিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত ‘প্রেসিডেন্টের ওপর নির্ভর করে। এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অনুরোধ প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছিল এবং এই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল।’