আন্তর্জাতিক

অস্ত্র ছাড়বে না হিজবুল্লাহ, মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

হিজবুল্লাহর নেতা নাঈম কাশেম যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখতে তাদের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয় এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র অপরিহার্য। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, “আমরা আত্মসমর্পণ করবো না এবং ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না। অস্ত্র ছাড়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়।”

এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক লেবানন–ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনে একটি প্রস্তাব দেন, যার অন্যতম শর্ত ছিল হিজবুল্লাহর ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ। এই প্রস্তাবকে হিজবুল্লাহ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র ভূমিকা রেখেছিল, তবে বর্তমান বাস্তবতায় এসব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। তার মতে, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব ইসরায়েলের ধীর পিছু হটার সুযোগ করে দিতে পারে এবং সেটি একটি কৌশলগত জানালা হিসেবে দেখা প্রয়োজন।

তবে কাশেম পাল্টা যুক্তিতে বলেন, লেবাননের সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল সৃষ্টির পর থেকে ধারাবাহিক ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি; সে কারণেই সংগঠিত ‘প্রতিরোধ শক্তি’ হিসেবে হিজবুল্লাহর অস্তিত্ব অপরিহার্য।

হিজবুল্লাহ প্রধান স্পষ্ট সংকেত দেন- লেবানন বর্তমানে একটি অস্তিত্বগত হুমকির মুখে। এই হুমকি কাটলেই প্রতিরক্ষা কৌশল বা জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনায় তারা প্রস্তুত।