আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে ভারত

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লির রপ্তানিতে ২৫ শুল্ক আরোপের আদেশে স্বাক্ষর করার একদিন পর এই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার আলোচনার সাথে জড়িত একটি ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশ অনুসারে, ট্রাম্প কয়েক ডজন বাণিজ্য অংশীদারের উপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। এগুলোর মধ্যে কানাডা থেকে আসা অনেক পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ, ব্রাজিলের জন্য ৫০ শতাংশ, তাইওয়ানের জন্য ২০ শতাংশ এবং সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের দুই দেশ যে বাস্তব এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার উপর আমরা মনোনিবেশ করছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সম্পর্ক আরো এগিয়ে যাবে।”

ভারতের অত্যন্ত সুরক্ষিত কৃষি ও দুগ্ধ খাতে প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত থেকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে প্রভাবিত হতে পারে।শুল্ক হ্রাসে কোনো চুক্তি না হলে, এই হার ভারতকে তার প্রধান প্রতিপক্ষের তুলনায় কঠোর বাণিজ্য পরিস্থিতির জন্য চিহ্নিত করবে, যা এশিয়ায় কৌশলগত মার্কিন অংশীদারের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাতের সাথে আপস করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিশেষ করে ধর্মীয়ভাবে এই পণ্যগুলোতে পশুখাদ্যের বিরোধিতার কারণে দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।

বুধবার ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক লেনদেন এবং প্রধান উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির ব্রিকস গ্রুপে সদস্যপদ লাভের জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত শাস্তির হুমকিও দিয়েছিলেন। শাস্তির বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। 

বৃহস্পতিবার একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে পার্থক্য রাতারাতি সমাধান করা যাবে না।