আন্তর্জাতিক

‘কুকুররাও আমাকে আশীর্বাদ করছে’

আদালতের ভেতরে ও বাইরে হালকা-পাতলা ঠাট্টার জন্য পরিচিত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বিক্রম নাথ। শনিবার তিনি বলেছেন, ‘পথের কুকুর’ মামলাটি তাকে বিশ্বজুড়ে নাগরিক সমাজে বিখ্যাত করে তুলেছে। কুকুরপ্রেমীরা ছাড়াও কুকুররা তাকে আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছে।

বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির একটি বিশেষ বেঞ্চ ২২ আগস্ট দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আটক বেওয়ারিশ কুকুরদের মুক্তি নিষিদ্ধ করে দেওয়া  ১১ আগস্টের আদেশ সংশোধন করেছে।

কেরালার তিরুবনন্তপুরমে জাতীয় আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত সংক্রান্ত একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বিচারপতি নাথ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি তাকে মামলাটি অর্পণ করেছেন।

তিনি বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমি আমার অদ্ভুত কাজের জন্য আইনি জগতে পরিচিত, কিন্তু আমি পথিকৃৎদের কাছেও কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে কেবল এই দেশেই নয়, সারা বিশ্বের সমগ্র নাগরিক সমাজে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবং আমি আমাদের প্রধান বিচারপতির কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে এই মামলাটি অর্পণ করেছেন।”

বিচারপতি নাথ জানান, তিনি সম্প্রতি একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ আইনজীবীরা তাকে বেওয়ারিশ কুকুরের সমস্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি এমন বার্তাও পাচ্ছি যে, কুকুরপ্রেমীরা ছাড়াও কুকুররা আমাকে আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছে।”

১১ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জননিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে রাজধানী দিল্লি থেকে হাজার হাজার বেওয়ারিশ কুকুর সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সম্প্রতি সেখানে কুকুরের কামড়ের ঘটনা হঠাৎ বৃদ্ধির পর এ আদেশ দেওয়া হয়। পশুপ্রেমীরা এই রায়ের প্রতিবাদ জানানোর পরে ২২ আগস্ট বিচারপতি নাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় সংশোধন করে  রাস্তা থেকে কুকুর তুলে নিয়ে বন্ধ্যাকরণ এবং প্রতিষেধক দেয়ার পর ছেড়ে দিতে বলেছে।