পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা তাদের জলসীমায় প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদের সন্ধান পেয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এ মজুদের পরিমাণ এত বিপুল যে তা তাদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল ফাওয়াদ আমিন বেগ জানিয়েছেন যে, চীনের সহযোগিতায় একটি যৌথ জরিপে পাকিস্তানের নৌবাহিনী সমুদ্রের গভীরে বিশাল গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার করেছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে বিশেষ টক শো আয়োজন করেছিল জিও নিউজ। সেই টক শোতে এই তথ্য প্রকাশ করেন সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল ফাওয়াদ।
তিনি বলেন, “আমাদের জলসীমা কেবল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়, বরং সামুদ্রিক সম্পদের ভাণ্ডারও রয়েছে। এসব সম্পদ অনুসন্ধানে পাকিস্তান নৌবাহিনী কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। আমরা যদি এই সম্পদ বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগাই, তাহলে পাকিস্তানের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে।”
সাবেক নৌ কর্মকর্তার দাবি, সম্প্রতি চীনের সহায়তায় পরিচালিত একটি বিস্তারিত জরিপে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আরব সাগরে পাকিস্তানের জলসীমার তলদেশে বিশাল গ্যাসের মজুত রয়েছে।
সাগরের তলদেশের গভীরে আনুমানিক কী পরিমাণ গ্যাস সঞ্চিত আছে, তা এখনও জানা যায়নি। টক শোতে রিয়ার অ্যাডমিরাল ফাওয়াদ এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এজন্য আরও বিস্তৃত অনুসন্ধানের প্রয়োজন আর সেই অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগকারী। আমরা এখন বিনিয়োগকারী খুঁজছি।”
তিনি চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেও ইঙ্গিত করেন। ফাওয়াদ বলেন, “যখনই পাকিস্তান অগ্রগতির দিকে অগ্রসর হয়, তখনই পঞ্চম প্রজন্মের শত্রুতাপূর্ণ যুদ্ধ কৌশল বিনিয়োগকারীদের দূরে সরিয়ে দেয়।”
তবে তিনি আরো বলেন, “বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা কাউন্সিল এবং সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাকিস্তানকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি দেওয়ার জন্য একটি নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল তৈরি করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ৭৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও পুরো পাকিস্তানজুড়ে খনিজ সম্পদ সম্পদের ব্যাপক ও বিস্তৃত অনুসন্ধান হয়নি। গত বছর বেইজিং এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সহায়তার প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করে ইসলামাবাদ। তারপর থেকে বেইজিং ও ইসলামাবাদ যৌথভাবে পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান করছে।