চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে তিন জন যুগ্মভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। মঙ্গলবার সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্স এবারের বিজয়ী হিসেবে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিসের নাম ঘোষণা করেছে। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।
‘ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন’ আবিষ্কারের এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় পদার্থে নোবেল বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ তাদেরকে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে দেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যপ্রণালী বিষয়ে গবেষণার জন্য দুই মার্কিন ও এক জাপানি গবেষক এই পুরস্কার পেয়েছেন।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, আগামীকাল ৮ অক্টোবর রসায়ন, ৯ অক্টোবর সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
১০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে এ পুরস্কারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্যাটাগরি শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম। তার তিন দিন পর ১৩ অক্টোবর সর্বশেষ অর্থনীতি বিভাগে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই বাছাই শেষে অল্প কয়েক জনকে মনোনীত করা হয়। তারপর মনোনীতদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে দেওয়া হয় পুরস্কার।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।