এ বছর রসায়নবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে আজ। সুইডেনের স্থানীয় সময় বুধবার (৮ অক্টোবর) ১১টা ৪৫ মিনিটে, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) চলতি বছরের প্রথম নোবেল ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ফ্রাঙ্কো ও ফ্রেড র্যামসডেল ও জাপানের গবেষক শিমন সাকাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পরের দিন মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস। বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে স্থূল কোয়ান্টাম যান্ত্রিক টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছে তাদের।
আজ ঘোষণা করা হবে রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম। গত বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ৩ জন রসায়নবিজ্ঞানী। এরা হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের এবং ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’- এ অবদান, অর্থাৎ নতুন ধরনের একটি প্রোটিন তৈরির জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছিল ডেভিড বেকারকে। এটি ছিল খুবই জটিল এবং প্রায় অসম্ভব একটি গবেষণা।
আর ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’ বিষয়ে অবদান রাখার জন্য। দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
আগামীকাল ৯ অক্টোবর বিকেল ৫টায় সাহিত্যে এবং ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এর পর ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।
প্রতি বছর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম। তবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে।
পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আলফ্রেড নোবেলের উইলে পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কারের কথা থাকলেও অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল না। ১৯৬৮ সাল ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের’ নেওয়া এক বিশেষ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়।