চলতি বছর রসায়নে তিন জন যুগ্মভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্স এবারের বিজয়ী হিসেবে জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর এম. ইয়াগির নাম ঘোষণা করেছে।
‘ধাতব জৈব-কাঠামো’ উন্নয়নের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত এই আণবিক কাঠামো এত বড় যে এর মধ্য দিয়ে গ্যাস ও তরল প্রবাহিত হতে পারে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় রসায়নে নোবেল বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ তাদেরকে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।
‘ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন’ আবিষ্কারের এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
তার আগের দিন সোমবার (৬ অক্টোবর) চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন দুই মার্কিন গবেষক ম্যারি ই. ব্রুনকো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানি গবেষক শিমন সাকাগুচি। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যপ্রণালী বিষয়ে গবেষণার জন্য তারা এই পুরস্কার পেয়েছেন।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, আগামীকাল ৯ অক্টোবর সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
১০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে এ পুরস্কারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্যাটাগরি শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম। তার তিন দিন পর ১৩ অক্টোবর সর্বশেষ অর্থনীতি বিভাগে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই বাছাই শেষে অল্প কয়েক জনকে মনোনীত করা হয়। তারপর মনোনীতদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে দেওয়া হয় পুরস্কার।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।