আন্তর্জাতিক

সব ধরনের আশ্রয় আবেদন নিষ্পত্তি স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের আশ্রয় আবেদন (অ্যাসাইলাম) নিষ্পত্তি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। 

ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো এ ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিবিসির এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

জোসেফ এডলো বলেন, “প্রতিটি অভিবাসীকে সর্বোচ্চ মাত্রায় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, এটা যতদিন না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততদিন সব ধরনের আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।” 

ঘোষণাটি আসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন হুমকির কয়েক ঘণ্টা পর। 

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘সব তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন। এর আগে বুধবারের গুলির ঘটনায় আহত এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মারা যান। এ ঘটনায় একজন আফগান নাগরিককে দায়ী করা হচ্ছে।

সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অধীনস্থ ইউএসসিআইএস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— কোনো দেশেরই অ্যাসাইলাম আবেদন অনুমোদন, বাতিল বা বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্তই তারা এখন দেবেন না। তবে কর্মকর্তারা আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগের ধাপ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন। নির্দেশনায় বলা হয়, “সিদ্ধান্তের ঠিক আগের ধাপে এসে থেমে যান ও অপেক্ষা করুন।”

বুধবারের প্রাণঘাতী হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসননীতি আরো কঠোর হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প বেআইনি অভিবাসীদের গণ-নির্বাসন, শরণার্থী গ্রহণ কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন।

একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র আফগান নাগরিকদের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়াও স্থগিত করে ‘নিরাপত্তা ও যাচাই প্রটোকল’ পুনর্মূল্যায়নের কথা জানিয়েছে। 

পরদিন ইউএসসিআইএস জানায়, তারা ১৯টি দেশের নাগরিকদের আবেদন করা গ্রিন কার্ড পুনরায় পর্যালোচনা করবে। কোন কোন দেশ এতে অন্তর্ভুক্ত, এ বিষয়ে তারা জুনে হোয়াইট হাউসের ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে। সেখানে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাম ছিল।