রাফা সীমান্ত ক্রসিং একমুখী খোলার ইসরায়েলের ঘোষিত পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো। শনিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে পারবে, কিন্তু ফিরে আসতে পারবে না। এছাড়া গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা হবে।
গত সাত সপ্তাহে প্রায় ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার মিশর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। এতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক ঘোষণায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “গাজা উপত্যকা থেকে মিশরে বাসিন্দাদের প্রস্থানের জন্য আগামী দিনে রাফাহ ক্রসিং খোলা হবে।”
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারী এই ঘোষণাটি বুধবার ইসরায়েলি সামরিক ইউনিট ‘কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন টেরিটরিজ ঘোষণা করেছে। এতে বলা হয়েছে যে মিশরের সাথে সমন্বয় করে ইসরায়েলি ‘নিরাপত্তা অনুমোদন’ নিয়ে একমুখী ক্রসিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে।
মিশর এবং মধ্যস্থতা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি।”