মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক দূত জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি চুক্তি ‘সত্যিই কাছাকাছি’। মাত্র দুটি প্রধান বিষয় সমাধানের উপর চুক্তিতে পৌঁছানো নির্ভরশীল। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি একজন ‘শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্মরণীয় হতে চান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের অবসান এখন পর্যন্ত তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে অধরা পররাষ্ট্র নীতি লক্ষ্য।
দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডোনবাসে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে আট বছর ধরে চলা লড়াইয়ের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে।
জানুয়ারিতে পদত্যাগ করতে যাওয়া ইউক্রেনের জন্য মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ রিগ্যান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামকে জানিয়েছেন, সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টা ‘শেষ ১০ মিটার’-এ ছিল।
কেলোগ জানান, দুটি প্রধান অমীমাংসিত বিষয় ছিল ভূখণ্ডের সাথে সম্পর্কিত - মূলত ডোনবাসের ভবিষ্যৎ এবং ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ, যা ইউরোপের বৃহত্তম এবং এটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি আমরা এই দুটি বিষয়ের নিষ্পত্তি করি, তাহলে আমার মনে হয় বাকি বিষয়গুলো মোটামুটি ভালোভাবেই সমাধান হবে। আমরা প্রায় সেখানে পৌঁছে গেছি। আমরা সত্যিই, সত্যিই খুব কাছাকাছি।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সাথে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চার ঘন্টা আলোচনা হয়। ওই সময় পুতিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি সহকারী ইউরি উশাকভ জানিয়েছিলেন, ‘আঞ্চলিক সমস্যা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।