যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তালিকা আরো লম্বা করেছেন। তিনি নতুন করে আরো পাঁচটি দেশের নাগরিক ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জারি করা কাগজপত্র নিয়ে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বলা হয়নি। নথিতে ফিলিস্তিনিদের ‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে ভ্রমণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
হোয়াইট হাউজের মতে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য’ এবং এটি ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের ওপর পূর্ণ-প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারটি দেশটির জন্য প্রত্যাশিত নয়। কারণ কিছুদিন আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে গেছেন। সাবেক আলকায়দা জঙ্গি শারা’র এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, হোয়াইট হাউজে তার সফরের আগে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন লাওস এবং সিয়েরা লিওনকেও পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় স্থানান্তরিত করেছে, দেশ দুটি এর আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ছিল। নাইজেরিয়া, তানজানিয়া এবং জিম্বাবুয়ে সহ আরো ১৫টি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় ও জন নিরাপত্তাজনিত হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা নিশ্চিত করতে স্ক্রিনিং, যাচাই-বাছাই এবং তথ্য ভাগাভাগির ক্ষেত্রে প্রদর্শিত, স্থায়ী এবং গুরুতর ঘাটতি থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।’
এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।