সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের ওপর ভয়বহ হামলার ঘটনার পর, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নতুন পদক্ষেপের মধ্যে ধর্মীয় প্রচারক ও নেতাদের জন্য নতুন ‘গুরুতর ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ আইন, ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য কঠোর শাস্তি, ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবিলায় শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন ‘ঘৃণা, বিভাজন এবং মৌলবাদ ছড়ানো’ ব্যক্তিদের লক্ষ্য করবে।
তিনি জানান, যারা ঘৃণা ও সহিংসতায় উস্কানি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে নতুন ‘গুরুতর বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ অপরাধ আইন চালু করবে সরকার। ঘৃণা ও সহিংসতা প্রচারের জন্য ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ক্ষেত্রে আরো কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ঘৃণা ও বিভেদ ছড়ানো ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যান করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানো হবে। ঘৃণা ছড়ানো নেতাদের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা হবে।
অ্যালবানিজ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলায় সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করবে। এছাড়াও জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের পক্ষে বা বিরুদ্ধে গুরুতর বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে ফেডারেল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ইহুদি উৎসবের সময় দুই বন্দুকধারীর গুলিতে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
অস্ট্রেলিয়ায়, বিশেষত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে, ইহুদি বিদ্বেষ বৃদ্ধির কারণে সরকারের ওপর চাপ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, এই পদক্ষেপগুলো ‘অনেক দেরি করে’ নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ‘অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায় সুরক্ষিত বোধ করার অধিকার রাখে’।
তিনি বলেন, “শুধু আমাদের সম্প্রদায়ে নয়, বরং পুরো বিশ্ব ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রয়েছে।”