দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং দেশের টাক পড়া পুরুষদের সাহায্য করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। চুল পড়ার চিকিৎসার ব্যয় জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পে অর্ন্তভূক্তের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জে মিয়ং চলতি সপ্তাহে এক ব্রিফিংয়ে কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, চুল পড়ার চিকিৎসা আগে ‘প্রসাধনী’ হিসেবে দেখা হত, কিন্তু এখন এটি ‘বেঁচে থাকার বিষয়’ হিসেবে দেখা হয়।
মঙ্গলবারের সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিয়ং ইউন-কিয়ং জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা বর্তমানে চিকিৎসাগত অবস্থার কারণে চুল পড়ার চিকিৎসার আওতায় পড়ে। তবে এটি বংশগত চুল পড়া রোগীদের অন্তর্ভূক্ত করে না। কারণ এটি কারো জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়।
পরে প্রেসিডেন্ট লি প্রশ্ন করেন, “এটি কি কেবল বংশগত রোগকে রোগ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার বিষয়?”
লি এর প্রস্তাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একজন ব্যবহারকারী লিকে ‘ইতিহাসের সেরা রাষ্ট্রপতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া, যা তার কঠোর সৌন্দর্যের মানদণ্ডের জন্য কুখ্যাত, সেখানে টাক পড়ার বিষয়টি তরুণদের কাছে উদ্বেগজনক।
কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছর দেশটির দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ যারা চুল পড়ার চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বয়স ২০ বা ৩০ এর মধ্যে ছিল।
প্রেসিডেন্ট লি-এর প্রস্তাবে অবশ্য অনেকে উৎসাহী নন - এমনকি যারা ভর্তুকিযুক্ত চুল পড়ার চিকিৎসা থেকে উপকৃত হবেন তারাও নয়।
এই পদক্ষেপটিকে ‘ভোট দখলের নীতির মতো’ বলে মনে হচ্ছে জানান ৩২ বছর বয়সী সং জি-হুন।
কোরিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুল পড়ার আগে সরকারি তহবিল আরো গুরুতর রোগের জন্য ব্যয় করা উচিত।