নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভের সময় হাইকমিশনের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়নি বলে দাবি করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেনি। খবর এএনআই।
রবিবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানানো হয়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে শনিবার রাতে ‘অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র সেনা’ পরিচয় দেওয়া একটি গোষ্ঠী বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেয়। ২০ থেকে ২৫ জন বিক্ষোভকারী চার থেকে পাঁচটি গাড়িতে করে এসে নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাউসের প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণের জন্য জড়ো হন। পরে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
রবিবার ভারতীয় মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই সংবাদ প্রত্যাখ্যান করে জানান, বাংলাদেশে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার আহ্বান জানাতে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক হাইকমিশন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিল। হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভের বিষয়ে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের কিছু অংশে প্রকাশিত ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা।’ বিক্ষোভটি শান্তিপূর্ণ, সংক্ষিপ্ত ছিল এবং কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেনি।
তিনি বলেন, “কোনো ব্যারিকেড ভাঙার বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরি করার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ কয়েক মিনিট পরে দলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”
জয়সওয়াল বিদেশী কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “ভারত ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে তার ভূখণ্ডে বিদেশী মিশন/পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”