অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মন্ত্রী হামিশ ফ্যালকনার বলেন, “যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের নিন্দা জানাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এগুলো অবৈধ।”
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের জানান, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। ফলে গত তিন বছরে অনুমোদিত অবৈধ বসতির মোট সংখ্যা ৬৯টিতে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ মন্ত্রী ফ্যালকনার বলেন, “ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ ২০ দফা পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও নিরাপত্তার সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। কেবল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।”
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল ও পরে অঞ্চলটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। জেরুজালেমকে বাদ দিলে পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস।
দখল করা ভূমিতে ইসরায়েলের এ ধরনের বসতি স্থাপনকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও অবৈধ বলে মনে করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ইসরায়েলকে এসব কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে অসংখ্য প্রস্তাব পাস হয়েছে।
ফিলিস্তিন সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ১ হাজার ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি, আটক হয়েছেন প্রায় ২১ হাজার।
গত জুলাই মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের সব বসতি খালি করার আহ্বান জানায়।