সুইজারল্যান্ড পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কারণে সুইজারল্যান্ডের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান শনিবার এ কথা বলেছেন।
থমাস সুয়েসলি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনজেডজেডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনী এখনো বড় ধরণের সরঞ্জামের ঘাটতির মুখোমুখি।
তিনি বলেছেন, “আমরা যা করতে পারি না তা হল দূর থেকে আসা হুমকি বা এমনকি আমাদের দেশের উপর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করা। এটা জানা কষ্টকর যে একটি বাস্তব জরুরি পরিস্থিতিতে, সব সেনার মাত্র এক তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত থাকবে।”
সুইজারল্যান্ড প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে, আর্টিলারি এবং স্থল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করছে এবং পুরানো যুদ্ধবিমানগুলোকে লকহিড মার্টিন এফ-৩৫এ দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে।
তবে সমালোচকরা কঠোর ফেডারেল অর্থায়নের মধ্যে আর্টিলারি এবং যুদ্ধাস্ত্রের উপর ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সুয়েসলি জানান, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার রাশিয়ার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর প্রতি মনোভাব পরিবর্তিত হয়নি।
তিনি সংঘাত থেকে সুইজারল্যান্ডের দূরত্ব, সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং নিরপেক্ষতা সুরক্ষা প্রদান করে এমন ভ্রান্ত বিশ্বাসকে দায়ী করেছেন।