আন্তর্জাতিক

সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটে থাকা মিয়ানমারে রবিবার নির্বাচন

গৃহযুদ্ধে থাকা মিয়ানমারে রবিবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধের কারণে দেশটি এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

মিয়ানমার ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই বছর সামরিক বাহিনী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করেছিল।

চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় এবং ভূমিকম্পের ফলে চরম মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার। রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন জান্তা দেশটিতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের তথ্য আগেও গোপন রেখেছে। গবেষকদের ক্ষুধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ না করার জন্য এবং ত্রাণ কর্মীদের তা প্রকাশ না করার জন্য চাপ দিয়েছে জান্ত। পাশাপাশি অভ্যুত্থানের পর থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘের অনুমান, মিয়ানমারের ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ কোটি মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার পতনশীলতা প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিচ্ছে। ছয় লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সংঘাতে ৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে বিপুল সংখ্যক লোক তাদের আবাসস্থল ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যার অর্থ খাদ্যের অভাব তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকিস্বরূপ।

সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের জনগণ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গোষ্ঠী যাদের সাহায্যের প্রয়োজন। দেশজুড়ে ৫ লাখ হাজারেরও বেশি শিশু এই বছর তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে - যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।