ডেস্ক রিপোর্ট : কেলেঙ্কারির আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ। রূপচর্চাসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কারণে গতসপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী নারীমন্ত্রীর পদত্যাগের পর নিয়োগ পান ইয়োচি মিয়াজাওয়া। নতুন এ মন্ত্রীর কার্যদিবস দুদিন হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে উঠলো গুরুতর অভিযোগ। তিনি না কি সরকারি অর্থ ‘সেক্স ক্লাবে’ ঢেলেছেন। দলের প্রচরণায় রাজনৈতিক কর্মীদের সক্রিয় রাখতে বিনোদন দিতে সেক্স ক্লাবের অর্থ প্রদান করেছিলেন তিনি।অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক এলাকা হিরোশিমায় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়াজাওয়ার সমর্থকরা সরকারি তহবিল থেকে ১৮ হাজার ২৩০ ইয়েন (১৭০ ইউএস ডলার) নিয়ে সেক্স ক্লাবে খরচ করেন। ওই অর্থব্যয়কে বিনোদন খরচ হিসেবে দেখান হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিলেন তিনি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিচি মিয়াজাওয়ার ভাতিজা ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার চাচাতো ভাই ৬৪ বছর বয়সী ইয়োচি মিয়াজাওয়া এ অর্থব্যয়ের কথা স্বীকার করলেও নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।ইয়োচি বলেন, ‘এটা সত্য যে, কিছু অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু আমি সেখানে যাইনি।’সরকারি অর্থ রাজনৈতিক প্রচারণায় ও রূপচর্চায় ব্যয় করার দায়ে গত সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ইয়োকো ওবুচি। একই দিনে দেশটির আরেক নারীমন্ত্রী মিদোরি মাতসুসিমাকে বিচার মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ করা হয়।এ ঘটনার পরপরই ইয়োচিকে নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার ঘটনা বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে।তথ্যসূত্র: বিবিসি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ অক্টোবর ২০১৪/কামরুজ্জামান