সাক্ষাৎকার

‘নতুন নেতৃত্ব হোক ছাত্রবান্ধব-জনকল্যাণমুখী’

আবু বকর ইয়ামিন : আগামী ১১-১২ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের পরই ঘোষণা হবে নতুন কমিটি। আসবে নতুন নেতৃত্ব। ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটির আগামী নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত- জানতে চাইলে মূল নেতৃত্ব প্রত্যাশী ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় রাইজিংবিডিকে বলেন, দেশে বর্তমান উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করার মনোবল থাকতে হবে। দেশে জনগণের জন্য কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। রাইজিংবিডি : আগামীতে ছাত্রলীগে কেমন নেতৃত্ব দেখতে চান? আল নাহিয়ান খান জয় : বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই পরিচালিত হতে হবে, সৎ, যোগ্য ও শিক্ষিত হতে হবে। নতুন নেতৃত্বকে হতে হবে ছাত্রবান্ধব। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা অবশ্যই থাকতে হবে। দেশে বর্তমান উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করার মনোবল থাকতে হবে। মোটকথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। রাইজিংবিডি : বর্তমান ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী? আল নাহিয়ান খান জয় : আপনি জানেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আছে। কিন্তু কিছু কিছু সংগঠন আছে যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। দেশে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। দেশের উন্নতির অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। আমি কখনোই ছাত্র রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের সমর্থন করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করি এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী সংগঠন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের একজন কর্মী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব কর্মকাণ্ডকে আমি ভালোবাসি ও বুকে লালন করি। রাইজিংবিডি : ছাত্রলীগের বয়সসীমা সম্পর্কে বলুন। আল নাহিয়ান খান জয় : শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ও বড় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সব সময় বর্তমান ছাত্রদের দেওয়া হয়। তাই ছাত্রদের বিবেচনা করে বয়স হওয়া উচিৎ। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী। সৎ, মেধা ও যোগ্যতার আলোকে আমাদের অভিভাবক (প্রধানমন্ত্রী) যেটি ভাল মনে করবেন তিনি সেটিই করবেন। রাইজিংবিডি : নিয়মিত সম্মেলন সম্পর্কে কিছু বলুন। আল নাহিয়ান খান জয় : সম্মেলনের মাধ্যমে দেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। দেশে যোগ্য নেতৃত্ব আসলে অবশ্যই দেশের মঙ্গল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনুধাবন করছেন। তাই তিনি নিয়মিত সম্মেলন দিয়েছেন। কারণ, সম্মেলন হলে সবার মাঝে কাজের চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পায় ও নতুন কর্মস্পৃহা জাগে। রাইজিংবিডি : আপনার বর্তমান পড়ালেখা সম্পর্কে কিছু বলুন। আল নাহিয়ান খান জয় : আলহামদুলিল্লাহ, পড়ালেখা ভালোই চলছে। বর্তমানে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধ বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছি। এর আগে আমি ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে ভর্তি হই এবং কৃতকার্যের সাথে সে বিভাগে ২০১২ সালে অনার্স  এবং ২০১৩ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। রাইজিংবিডি : আপনাকে ধন্যবাদ। আল নাহিয়ান খান জয় : রাইজিংবিডিকে ধন্যবাদ। রাইজিংবিডির সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৮/ইয়ামিন/মুশফিক