স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে যেসব ছাত্রনেত্রী নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন তাদেরই একজন আয়েশা খানম৷ ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সবগুলোতেই ছিলেন সামনের সারিতে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ভাগ্যবিড়ম্বিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে কাজ করেছেন নারী ক্ষমতায়নে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বদলে দেন। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থেকে আয়েশা খানম ঐতিহাসিক সেই ভাষণ শুনেছিলেন খুব কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ আজ বিশ্বনন্দিত, ইউনেস্কোস্বীকৃত। ৪৯ বছর পর সেই ভাষণে উপস্থিত থাকার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন রাইজিংবিডির সঙ্গে।
রাইজিংবিডি: খুব কাছ থেকে দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। অনুভূতি কেমন ছিল?
আয়েশা খানম: সব অভিব্যক্তি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তেমনই একটি অভিব্যক্তি ছিল সেদিন। তখন আমার বয়স ২১ বছর। স্বাভাবিকভাবেই এ বয়সে চঞ্চলতা কাজ করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চলাকালে উপস্থিত সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো নীবর হয়ে শুনছিল। আমিও মোহবিষ্ট হয়ে শুনছিলাম।
আমি রোকেয়া হল থেকে বেরিয়ে রেসকোর্স যাই। সেদিন ছিল প্রচণ্ড গরম। কিন্তু আমরা তা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর জন্য আকুলভাবে অপেক্ষা করছিলাম। এমন কোনো পেশার মানুষ নেই যারা সেখানে উপস্থিত হননি। শিল্পী-সাহিত্যিক থেকে শ্রমজীবী মানুষ সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ৫০ বছর হতে চলেছে ঐতিহাসিক সেই ভাষণের বয়স। কিন্তু এখনও যখন আমরা ভাষণটি শুনি শরীরে শিহরণ জাগে। আমি এমন অনেককে দেখেছি এই ভাষণ শুনে এখনো আচ্ছন্ন হচ্ছেন। তাহলে একবার চিন্তা করেন, তখন সরাসরি শুনতে আমাদের কতটা উদ্দীপ্ত করেছিল, কতটা আচ্ছন্ন করেছিল ৭ই মার্চের সেই ভাষণ। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেদিন ভাষণ শুনছিলাম।
আমার বয়স তখন একুশ বছর। আমি এবং আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে আবেগ উত্তেজনা কাজ করছিল। কী হবে কী হতে যাচ্ছে এরকম ছিল এক পরিস্থিতি ছিল তখন। সবাই উদ্যানে জড়ো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনা পাওয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলে গেলেন শুধু দিকনির্দেশনা নয়, অনুপ্রেরণার কথা, বিজয়ের কথা, জাতির করণীয়। আগামী দিনের স্বপ্নের বীজ বপন করে গেলেন তিনি এক ভাষণের মাধ্যমে।
স্টেজ থেকে বড়জোর দশ হাত দূরে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। দশ-বারো হাত দূরত্ব কিন্তু খুব বেশি দূরত্ব না। আর যদি সেটি হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, তবে তো আর কথাই নেই। তখনতো সেলফির যুগ ছিল না। মোবাইল ফোন ছিল না। তাহলে সেই ঐতিহাসিক ক্ষণের একটি ছবি তুলে রাখতে পারতাম। যাই হোক এটি ভিন্ন প্রসঙ্গ।
প্রচণ্ড রোদ ছিল সেদিন। কে যেন একটা ছাতা দিয়েছিল। ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিলাম পুরো সময়। আমার যতদূর মনে পড়ে সেখান থেকে উপস্থিত অনেকেই কোনো রকম নড়াছড়া ছাড়াই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ভাষণ শুনেছেন। মাঝেমধ্যে স্লোগানের হচ্ছিল, তালি বাজছিল। আর সাবলীলভাবে বঙ্গবন্ধু বলে যাচ্ছিলেন বাঙালির স্বাধিকারের কথা, স্বাধীনতার কথা।
মঞ্চে উঠেই তিনি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির কণ্ঠে ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ ধ্বনিত হয়। বঙ্গবন্ধু দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’
রাইজিংবিডি: মেয়েদের উপস্থিতি কেমন ছিল?
আয়েশা খানম: বাংলাদেশ তখন রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছিল। এখনো আমরা রক্ষণশীল, জাতি হিসেবে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি, আর ৪৮/৪৯ বছর আগের পরিস্থিতি এক রকম ছিল না। তখন পরিস্থিতি ছিল খুবই বৈরি। ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ছিল ৩ মার্চ। কিন্তু হঠাৎ করে ১ তারিখে ইয়াহিয়া সেই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর সবাই রাস্তায় নামে। আন্দোলন শুরু হয়, হরতাল ঘোষণা করা হলো। মিছিল-মিটিং হচ্ছিল। এর মধ্যে পরদিন রাতে হঠাৎ বেতার থেকে ঢাকা শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা আসে। কারফিউ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও শ্রমিক এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকেরা কারফিউর বিরুদ্ধে প্রবল স্লোগান তুলে ধরেন। কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল বের করে তারা। তাদের স্লোগান ছিল-‘সান্ধ্য আইন মানি না’,‘জয় বাংলা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ ঘর থেকেই তো বের হয় না। কিন্তু অবাক করা বিষয় ছিল- ৭ই মার্চের ভাষণ শোনার জন্য সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে জনস্রোত ছিল। মেয়েদের উপস্থিতিও ছিল অবাক করার মতো। আমি বলব মোট উপস্থিতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী ছিল। আমি তখন রোকেয়া হলে থাকতাম। হলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার উপর কিছু দায়িত্ব ছিল ভাষণকে কেন্দ্র করে। আমার দায়িত্ব ছিল মেয়েদের একাংশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করা। আমি দেখেছি ছাত্রদের পাশাপাশি সেদিন ছাত্রীরাও নিজেদের তাগিদেই, নিজেদের ইচ্ছাতেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে এসেছিলেন।
সেদিনের ভাষণের সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, সর্বস্তরের মানুষ হাজির হয়েছিলেন। আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও মিছিলে একেবারে উচ্চস্তরের মানুষদের উপস্থিতি খুব একটা দেখি না। কিন্তু সেদিন সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ঢাকার রেসকোর্স ময়দান। বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
রাইজিংবিডি: ভাষণটিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আয়েশা খানম: এটি হচ্ছে একটি কালজয়ী ভাষণ। সময় অতিক্রম করে এর রয়েছে অনাদিকালের একটা ব্যাপ্তি। বিশ্বের শান্তিকামী ও স্বাধীনতাকামী যেকোনো মানুষের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ এটি। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে তিনটি বিষয় লক্ষ্যণীয় ছিল। প্রথমত বীররস, তীব্র আবেগ এবং স্বাধীনতা প্রত্যাশী একটি জাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা।
ঐতিহাসিক নেই ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সার্বজনীনতা এবং মানবিকতা৷ যে-কোনো নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য এই ভাষণ সব সময়ই আবেদন সৃষ্টিকারী৷ এ ভাষণে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধিকার, মানবতা এবং সব মানুষের কথা বলা হয়েছে৷ ফলে এ ভাষণ দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে৷ আর একজন মানুষ একটি অলিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে স্বল্প সময়ে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন৷ তিনি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলেছেন৷ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাষায় কথা বলেছেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পেরেছেন৷ তারা যা চেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তা-ই তাদের কাছে তুলে ধরেছেন৷ ফলে এ ভাষণটি একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়৷ এই ভাষণই একটি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছে৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও এ ভাষণ প্রেরণা জুগিয়েছে৷ আর এতবছর পরও সেই ভাষণের আবেদন একটুও কমেনি।
রেসকোর্স মাঠ লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষ উত্তপ্ত স্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নিরবতা। ভাষণ শেষে আবার স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার প্রধান সড়ক-অলিগলি।
রাইজিংবিডি: সেদিন ভাষণকেন্দ্রিক আপনাদের প্রস্তুতি কেমন ছিল?
আয়েশা খানম: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সে সময় এমন ছিল যে, কোনো কোনো বিদেশি পত্রিকাও তখন জানিয়েছিল– ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়তো পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। ’৭১–এর ৫ মার্চ লন্ডনের গার্ডিয়ান, সানডে টাইমস, দি অবজারভার এবং ৬ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। ৬ মার্চ ’৭১ লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ছাপা হয় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন।’
৭ই মার্চ নির্ধারিত সময়ে বঙ্গবন্ধু বিক্ষোভে উত্তাল রেসকোর্সের লাখো জনতার সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন। তিনি তার ১৮ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অথচ জগৎবিখ্যাত ভাষণ রাখলেন। কিন্তু সেখানে সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলা হল না। যদিও তিনি যা বলেছিলেন, তা স্বাধীনতারই ডাক। এ ভাষণ কালের বিচারে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেল।
প্রথমেই বলছিলাম, হঠাৎ করেই ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেছিল। ৬ মার্চ আবার ইয়াহিয়া বেতারে ভাষণ দেন। ভাষণে ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আহ্বান করেন। তার এ বিষয়টিও আমরা ভালোভাবে নেইনি। হরতালের মধ্যেই তখন আবার মিছিল হলো। তখন আমরা বুঝেছিলাম যে, বঙ্গবন্ধু কাল (৭ই মার্চ) আন্দোলনেরই ডাক দিবেন। সেই হিসেবে আমাদের প্রস্তুতিও চলছিল। পরের দিনের দায়িত্ব এবং কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল।
৭ই মার্চ সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। আর সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। দুপুর দু’টার দিকে তরুণ নেতাকমীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু জনসভার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন।
রাইজিংবিডি: বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের মননশীলতায় কতটা প্রভাব ফেলেছিল বলে মনে করেন?
আয়েশা খানম: ভাষণটি বস্তুত বাংলাদেশের স্বাধীনতারই ঘোষণা ছিল। তবে বিদ্যমান বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তবতায় তিনি কৌশলের আশ্রয়ী হন। ভাষণের শেষভাগে তিনি এমনভাবে ‘স্বাধীনতার’ কথা উচ্চারণ করেন, যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকে না, অপরদিকে তার বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে আদৌ সহজ ছিল না। কিন্তু ভাষণের পর পরই বাঙালি জাতির চিন্তায়-মননে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম প্রবেশ করেছিল।
এই ভাষণ তীব্র উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। … রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ।’
এ ভাষণের আর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নেতৃত্বের সর্বোচ্চ দেশাত্মবোধ, সুনির্দিষ্ট লক্ষে স্থির এবং লক্ষ্য অর্জনে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। অপর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সময়ের পরিসীমায় গন্ডিবদ্ধ না থেকে তা হয় কালোত্তীর্ণ ও সব সময়ের জন্য প্রেরণাদায়ী। একটি রাষ্ট্রের বন্ধন ছিন্ন করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ ছিল তৃতীয় বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম নজির সৃষ্টিকারী ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল এর সব প্রেরণার মূলে।
রাইজিংবিডি: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আয়েশা খানম: সুন্দর এই উদ্যোগের জন্য রাইজিংবিডিকেও ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা। ঢাকা/হাসান/এসএম