আইন ও অপরাধ

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার   লিভ টু আপিল(আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

 

এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

 

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

 

পরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ করার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

এর আগে গত ২১ নভেম্বর খালেদার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ।

 

গত ৯ অক্টোবর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি।

 

গত বছরের ১৮ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দেন   হাইকোর্ট। মামলাটি বাতিলে খালেদার রিট আবেদন খারিজ  করে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 

গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত।

 

এরপর ৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

 

হাইকোর্টের রায়ে সচল হওয়ার পর নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে।

 

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

 

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

 

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৬/মেহেদী/ইভা