আইন ও অপরাধ

বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতি : চার আসামি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসিক ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলায় চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- ভাসাভি ফ্যাশন ও তাহমিনা ডেনিম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামাল জামান মোল্লা, ঢাকা ওয়াসার প্রাক্তন প্রকৌশলী নির্বাহী মো. ফরিদ আহমেদ এবং সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এভিপি মো. মোসাব্বির রহিম।

 

আসামিদের মধ্যে ইয়াসির আহমেদ খান এবং কামাল জামান মোল্লা গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। তাদেরকে আদালতে হাজির করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম।

 

ফরিদ আহমেদ রমনা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। তাকে আদালতে হাজির করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন। আরেক আসামি মোসাব্বির রহিমকে আদালতে হাজির করা হয় বনানী থানার মামলায়। তাকে আদালতে নিয়ে আসেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদেরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। আসামিদের জামিন দিলে তারা তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারেন। জামিন পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হোক।

 

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান মানিক আসামিদের জামিনের আবেদন করেন।

 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

প্রসঙ্গত, বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের আটক করে দুদক।

 

ইয়াসির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে গুলশান থানায়। বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ওই তিন মামলায়। কামাল জামান মোল্লার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় ৫৮ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

 

এসব মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুয়া জামানত দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণের নামে নেওয়া ওই অর্থ তারা আত্মসাৎ করেছেন।

 

বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় গত বছরের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৬টি মামলা করে দুদক। সেসব মামলায় ব্যাংকটির প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলামসহ আসামি ১২০ জন। এদের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা ২৭ জন, কয়েকটি সার্ভে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ১১ জন এবং বাকিরা ঋণগ্রহীতা।

 

ঢাকা ওয়াসার প্রাক্তন প্রকৌশলী নির্বাহী মো. ফরিদ আহমেদকে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯  টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২  টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার করে দুদক।

 

এফডিআর করার নামে ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এভিপি মো. মোসাব্বির রহিমকে ঢাকার শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ডিসেম্বর ২০১৬/এমএ খান/রফিক