নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিজীবী (বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক কেন যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে পৃথক রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথকভাবে রুল জারি করেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জামুকার মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করবে মর্মে ২০১৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিন্তু এ আদেশ উপেক্ষা করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক পৃথক একটি আদেশ জারি করেন। যা গত ৮ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘জামুকা কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।’
এ অবস্থায় সব গণকর্মচারী (চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে জামুকার এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন খাদ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার এস এম সোহরাব হোসেন এবং নাটোরের অবসরপ্রাপ্ত অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। এ দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট পৃথক রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারী এস এম সোহরাব হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. রফিকুর রহমান, হাসনাত কাইয়ুম ও দেওয়ান মেজবাহ আহমেদ। আরেক রিট আবেদনকারী রফিকুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/মেহেদী/মুশফিক