নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তদন্ত কর্মকর্র্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দকে আসামির পক্ষে জেরা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার মামলাটিতে ২ জন আসামির পক্ষে এ কর্মকর্তাকে আইনজীবীরা জেরা করেন। এরা হলেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল ও আবু বকর ওরফে সেলিম হওলাদার।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন জেরা রেকর্ড করেন। ওই দুই আসামির পক্ষে জেরা শেষ হওয়ার পর এদিন আসামি মওলানা আব্দুস সালামের পক্ষে জেরা শুরু হয়।
এ আসামির পক্ষে জেরা অব্যাহত থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার ১১টা পর্যন্ত আদালত মূলতবি করা হয়। এনিয়ে মামলাটির ৫১ জন আসামির মধ্যে ১৭ জনের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হলো।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ সাক্ষীর জবানবন্দি দেওয়া শুরুর পর সাতটি ধার্য তারিখে ওই জবানবন্দি হওয়ার পর গত ৩১ অক্টোবর তা শেষ হয়।
মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৪ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্পিøন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবনশক্তি হারান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ডিসেম্বর ২০১৬/এমএ খান/শাহনেওয়াজ