আইন ও অপরাধ

পুলভুক্ত ৩৮৮ শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ প্রশ্নে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৩৮৮ জনকে কেন স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে করা পৃথক ৪টি রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। ২০১১ সালের আগস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। বাকিদের পুল শিক্ষক হিসেবে সাত দিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পুল শিক্ষকদের নিয়োগ সাময়িক। তারা প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকা করে সম্মানি পান এবং কোনো ছুটি তারা পান না। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালে রিট দায়ের করেন পুল শিক্ষকরা। তাদের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। এর ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার মাহমুদা আক্তার মুন্নি, নীলফামারীর শামীমা আক্তার রায়হান হাবীব, বাগেরহাট জেলার তাহমিনা আক্তারসহ ৩৮৮ পুল শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রোববার তাদের নিয়োগ দিতে রুল জারি করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/সাইফ