আইন ও অপরাধ

তাজরীনের মালিক দেলোয়ারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ এস এম সাইফুল ইসলামের আদালতে তাজরীনের কোয়ালিটি সুপার রাকিব হাসান সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য  করেছেন। মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। আসামিদের মধ্যে রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল পলাতক। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামান। ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাক শ্রমিক নির্মমভাবে নিহত হন। দগ্ধ ও আহত হন ১০৪ জন শ্রমিক। এই গার্মেন্টস কারখানায় এক হাজার একশ’ ৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। লাশ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/ইভা