আইন ও অপরাধ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রশ্ন ফাঁসের টাকা লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হতো বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। গত রোববার রাতে রাজধানীর কলাবাগান, পশ্চিম রামপুরা ও ভাটারা থানা এলাকা থেকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তারা হলেন- মো. রাজু আহম্মেদ, মো. ফয়সালুর রহমান ওরফে আকাশ, মো. জোহায়ের আয়াজ, মহিউদ্দিন ইমন, স্বাধীন আল মাহমুদ ও কাজী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রনি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, চারটি সিপিইউ, তিনটি রাউটার, আটটি মোবাইল ও বেশ কয়েকটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। আব্দুল বাতেন বলেন, তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে আসল প্রশ্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। সেখান থেকে যারা প্রশ্ন নিতে আগ্রহী হতেন তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা ভাইবার গ্রুপে অ্যাড করে নিত। টাকা নেওয়া হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। তারা কোনো কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষা শেষেও টাকা নিত। তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারীরা খুবই কৌশলী। তারা প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা গ্রুপ তৈরি করত। পরে সেখানে প্রশ্ন ও উত্তরের ছবি আপলোড দিত। প্রশ্ন শতভাগ মিলে যাবে  বলে তারা নিশ্চয়তা দিত। আমার মিলিয়ে দেখেছি, তারা যে প্রশ্ন ফাঁস করে তার বেশিরভাগই পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সাথে মিলে যায়। এ বিষয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৭/নূর/রফিক