আইন ও অপরাধ

খুন করে লাশ ১৪ টুকরা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সবুজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে লাশ ১৪ টুকরা করার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. এনাম হোসেন খোকন ও মো. উনা মিয়া ওরফে উনা ডাকাত। এনাম পলাতক রয়েছেন। রোববার দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার আলামত নষ্ট করার অপরাধে মো. সাদেক নামে এক আসামির ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড আনাদায়ে তার আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রায়ে আসামি শাহিন মিয়া, সাইফুল ইসলাম ওরফে টিপু, বদরুল আলম ওরফে শিপু ও মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সমাজে অপহরণ, গুম ও খুন অহরহ বাড়ছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকল্পে এ ধরনের মামলায় আসামিদের উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক। ফলে এ মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে এ ধরনের নির্মম, নৃশংস ও অগ্রহণযোগ্য ভয়ংকর হত্যাসহ এ জাতীয় অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২১ আগস্ট রাত ১০টার পর আঙ্গুর মিয়ার বাড়ি হতে আসামি বাদল ভূইয়া সবুজকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় প্রথমে নিহতের স্ত্রী বাজিপুর থানায় একটি জিডি করেন। পরে খোঁজাখুঁজির পর ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় নুরপুর বিলে শহিদুল ইসলামের ব্রিকফিল্ডে নিহতের মানিব্যাগ পাওয়া যায়। পরে আরো খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিলের পানির নিচে এক বস্তায় সবুজের ৩ টুকরা লাশ পাওয়া যায়। পরে ওই ঘটনায় সবুজের ভাই সমাজ আহমেদ বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দণ্ডিতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি অনুযায়ী দণ্ডিতরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথমে সবুজকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার পর লাশ ১৪ টুকরা করে ১০টি বস্তায় লাশের টুকরার সঙ্গে ইট দিয়ে বিলের পানিতে ডুবিয়ে রাখে। তদন্ত শেষে বাজিপুর থানার পরিদর্শক ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফ