আইন ও অপরাধ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রানা ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানার পুনরায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রানার সহযোগী আশরাফুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লা আল মাসুদের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও রফিকুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রানার পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মামলার অপর আসামি আশরাফুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি রানা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেপ্তার, সংগঠনের অর্থের অনুসন্ধান, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের পরিকল্পনাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সংগ্রহসহ আলামত উদ্ধারের জন্য পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর প্রয়োজন। অপরদিকে আসামি রানার পক্ষে তার আইনজীবী হাফেজ আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রানার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর আশরাফুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে। ২০১৩ সালে পল্লবী থানা এলাকার ব্লগার রাজিব হায়দারকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল রেদোয়ানুল আজাদ রানা। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, রাজীবকে হত্যার পর রেদোয়ানুল মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি আগে আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণকারী আনসারুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি ফিলিপাইনে আবু সায়াফ জঙ্গি দলের কাছে যাওয়ার সময় মালয়েশিয়ায় ধরা পড়েন। ২০ ফেব্রুয়ারি রেদোয়ানুল ও আশরাফ নামের তার এক সহযোগীকে দেশে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। পরে উত্তরা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফুল