আইন ও অপরাধ

রিশা হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। ওই আদালতে আগামী ১৭ এপ্রিল চার্জ শুনানি হবে। তবে বুধবার মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দিনই রিশার মা রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল হক পলাতক ছিলেন। গত ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডেমরা থানার সোনারগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ওবায়দুলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালে চতুর্থ দিন ৫ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রিশাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। ওবায়দুল হক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী। প্রায় ৬ মাস আগে স্কুলের ড্রেস বানাতে মায়ের সঙ্গে বৈশাখী টেইলার্সে গিয়েছিল রিশা। সেখানে দেওয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে রিশাকে উত্যক্ত করতে শুরু করেন ওবায়দুল হক। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৭/মামুন খান/রফিক