নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণে মানব স্বাস্থ্যর ঝুঁকি আছে কি না তা নিরুপণে বিশ্ব স্বাস্থ্যসহ তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণ (তেজস্ক্রিয়তা) নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বিটিআরসিকে একই সময়ের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। এর আগে গত ২২ মার্চ সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণে মানব স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর মর্মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান হাইকোর্ট। এরপর স্বাস্থ্য কমিটি করে নিরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিটিআরসিকে বলেছেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৭/মেহেদী/ইভা