আইন ও অপরাধ

জঙ্গি তৎপরতায় বাড়তি সতর্কতায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : হঠাৎ করে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একের পর এক জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, স্থাপনায় পোশাক পরিহিত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বাড়তি সর্তকতা জারি করার জন্য সব পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর পুরো জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক জানতে পারি। এ কারণে জঙ্গিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। জঙ্গিদের গ্রেপ্তার এবং তাদের দেওয়া তথ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আস্তানাও মিলছে।’ রাইজিংবিডির প্রশ্নে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য আছে। তবে তারা যেন সে সুযোগ না পায় সেজন্যই বাড়তি সতর্কতা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এটি করা হয়েছে।’ ১৭ মার্চ বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এক জঙ্গি নিহত হওয়ার পর জঙ্গি তৎপরতারোধে পুলিশ বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ওই রাতেই ফ্যাক্স পাঠিয়ে জেলা এবং মহানগরী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ব্যক্তিদের বেলায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর সাদা পোশাকে এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দারা প্রতিনিয়ত কাজ করছে জঙ্গিদের সন্ধানে। অবশ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ১৪ দিনের জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশের সব বিচারালয় ও বিচারক-বিচারপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও এই সতর্কতার মধ্যে আনা হয়েছে। আর রাজধানী ঢাকাসহ প্রতিটি মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পোশাক পরিহিত পুলিশ। কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন এমন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, পলাতক জঙ্গিদের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি বা অভিযান চলছে। বিভিন্ন সময়ে নিখোঁজ যুবকদের একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধনে জঙ্গিসংশ্লিষ্ট কাজে অর্থায়ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটে জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি তছনছ করে দেওয়ার পর গোয়েন্দারা এখন সুইসাইডাল স্কোয়াড সদস্যদের খুঁজছে। তবে তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য নেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মার্চ ২০১৭/মাকসুদ/মুশফিক