আইন ও অপরাধ

সিলেটে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরও এক সঙ্গে ছিলেন অভিযুক্তরা। ঢাকা থেকে যখন তারা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে সিলেটে যায় তখনও তারা একসঙ্গে ছিলেন। তাদের শেষ সাক্ষত হয় সিলেটে। বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার নবাবপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হন সাফাত আহমেদের গাড়ি চালক বিল্লাল। দ্য নিউ ঢাকা বোডিংয়ের ৫ নম্বর কক্ষ থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১০ এর সদস্যরা। র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেইন মাতুব্বর জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর তারা সবাই এক সঙ্গে ছিলেন। মামলা হওয়ার খবর পেয়ে তারা ঢাকা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা থেকে তারা ৬ মে রাতে এয়ারপোর্টে যায়। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে গাজীপুর হয়ে মাওনা দিয়ে তারা সিলেট যায়। প্রথমদিন সাফত তার নানার বাসায় সাদমানকে নিয়ে অবস্থান করে। অন্য তিনজন একটি রিসোর্টে থাকে। পরে সেখান থেকে হঠাৎ সাফাতের দেহরক্ষী অন্য কোথাও চলে যায়। সাফাত ও সাদমান গ্রেপ্তার হওয়ায় বিল্লাল সুনামগঞ্জের ছাতকে তার এক আত্মীয়র বাসায় চলে যায়। এরপর থেকে বিছিন্ন ছিল তাদের যোগাযোগ। প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। এরপর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবাবপুর থেকে বিল্লালকে ও গুলশান থেকে রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মে ২০১৭/নূর/ইভা