নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অসুস্থ নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসিনুল কবিরকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩১ মে হাইকোর্টে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অসুস্থ নাজমুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ মে ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অনেকে। পরে পুলিশ ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য পরে তাদের জামিন দেওয়া হয়। এদিকে আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সোমবার একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সঙ্গে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি। এ প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৭/মেহেদী/উজ্জল