আইন ও অপরাধ

মামলার সুপারিশসহ প্রিন্স মুসার অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুদকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) বিরুদ্ধে  বিলাসবহুল ‘রেঞ্জ রোভার’ গাড়িতে শুল্কফাঁকি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হস্তান্তর করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। বুধবার এ সংক্রান্ত শুল্ক গোয়েন্দার একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়েছে। কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার মাধ্যমে আনা ওই গাড়ির জন্য এ মামলার সুপারিশ করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২১/০৩/২০১৭ তারিখে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি তদন্ত দল কর্তৃক প্রিন্স মুসা ব্যবহৃত একটি ‘রেঞ্জ রোভার ভোগ’ মডেলের গাড়ি আটক করা হয়। এই গাড়িটি ভোলা বিআরটিএ থেকে শুল্ক পরিশোধের ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করানো। তিনি এতে ১৭ লাখ টাকা শুল্ক দিয়েছেন মর্মে দাবি করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা যায় এই বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। ফলে সরকারের প্রায় ২.১৫ কোটি টাকা ফাঁকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন প্রিন্স মুসা। ভোলা বিআরটিএর কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি এই দুর্নীতি করেছেন মর্মে অনুসন্ধানে উদঘাটন হয়েছে। পরবর্তীতে শুল্ক ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ ও শুনানির প্রয়োজনে তাকে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে তলব করা হলে গত ০৭/০৫/১৭ তারিখে প্রিন্স মুসা সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। শুনানিকালে প্রিন্স মুসা বিন শমসের তার বার্ষিক টার্নওভারের বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে ‘সুইস ব্যাংকে রক্ষিত ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার- ৯৬,০০০ কোটি টাকা জব্দ আছে’ মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের সপক্ষে কোনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিংবা অন্য কোনো প্রামাণিক দলিলাদি তিনি দাখিল করেননি। প্রিন্স মুসার ব্যবহৃত বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িটি কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় ২০১০ সালে শুল্কমুক্তভাবে আনা; যা কোনোভাবেই প্রযোজ্য শুল্ক-করাদি পরিশোধ ব্যতিরেকে বাংলাদেশে ব্যবহার বা রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ নেই। অথচ ২০১৫ সালে ভোলা বিআরটিএ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্রাদি দাখিলের মাধ্যমে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউলভুক্ত অপরাধ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক