আইন ও অপরাধ

কললিস্টের সূত্র ধরে চলছে ফেরদৌসির সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ দিনের বেশি অতিবাহিত হতে চলল ধানমন্ডির ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা ফেরদৌসি একরাম ফৌসিয়া নিখোঁজের ঘটনা। এ সময় শিক্ষিকার নিকট স্বজন, স্কুল কর্তৃপক্ষ, বন্ধু-বান্ধব কিংবা পুলিশ তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে তিনি এক ছাত্রের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ২ জুলাই বাসা থেকে বের হন বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানতে পেরেছেন। কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবলুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শিক্ষিকা বাসায় থাকাকালীন যে মোবাইল ব্যবহার করতেন তার কললিস্ট নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাসের তার কথপোকথন শোনা হয়। এ সময় তিনি পারিবারিক, পেশাগত কিংবা দৈনন্দিন নানা কাজের বা প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন। সেখানে কোনো জঙ্গির সঙ্গে বা জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ে তেমন কিছুই নেই। ধর্মীয় গভীরতা নিয়ে কোনো কথাও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ২ জুলাই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন। যা মোবাইল রেকর্ডে আছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া তিনি আর কোন কোন ছাত্রকে পড়াতেন তা জানার চেষ্টা চলছে।’ তাহলে তিনি গেলেন কোথায়? এমন প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা রহমান বলেন, ‘আমরা একাধিক বিষয় সন্দেহ করছি তার নিখোঁজের বিষয়ে। তদন্তে অনেক কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার বিস্তারিত এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। পুলিশের সঙ্গে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নজরদারি অব্যাহত রেখেছে শিক্ষিকার সন্ধানে।’ শুক্রবার দুপুরে নিখোঁজ শিক্ষিকা গ্রিন রোডের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। তারা ফেরদৌসির ফিরে আসার আশায় পড়ছিলেন দোয়া-দুরুদ। ফেরদৌসির বড় ভাই এ কে এম এহসান উল্লাহ বলেন, ‘তার বোন নিয়মিত নামাজ পড়ত। স্কুলে যাওয়ার সময় বোরকা কিংবা হেজাবও পরত। কিন্তু ধর্ম নিয়ে তেমন কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি প্রাইভেটও পড়াত। অথচ জীবিত মানুষটাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’ রাইজিংবিডির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি। এখনও করছি। কেননা আমার বোন কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়াতে পারে না।’ উল্লেখ্য, ২ জুলাই সন্ধ্যায় গ্রিন রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে ফেরদৌসি আর ফিরে আসেননি। পরদিন ৩ জুলাই এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই। এরপরই পুলিশ তার সন্ধানে কাজ শুরু করেছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুলাই ২০১৭/মাকসুদ/মুশফিক