আইন ও অপরাধ

সাত খুন মামলায় আপিল শুনানি অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আজ আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও মো. আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। এর আগে গত ১৯ জুলাই সাত খুন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আর্জি জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে। তিনি আদালতে আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নাটের শুরু নূর হোসেন। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হতে হবে। সাত খুনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনসহ অন্য আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন।  

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় প্রাক্তন কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুল ইসলামের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।  

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৭/মেহেদী/রফিক