আইন ও অপরাধ

স্ক্র্যাপ জাহাজ এমটি প্রডিউসার ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপ জাহাজ এমটি প্রডিউসারের পাইপে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি থাকায় ওই জাহাজ ভা ঙার ওপর ৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) এক সম্পূরক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এ এম আমিন উদ্দিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। জাহাজ মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। পরে সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ওই জাহাজের পাইপে তেজস্ক্রিয় পদার্থের কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে সম্পূরক আবেদনের পর আদালত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওই জাহাজ ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।  মেসার্স জনতা শিপইয়ার্ড ওই জাহাজটি ভাঙার জন্য আমদানি করে। এমটি প্রডিউসার আমদানি, সৈকতায়ন এবং ভাঙার অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি হাইকোর্টে রিট করার পর ৮ জুন ওই জাহাজে তেজস্ক্রিয়তার বিষয়ে ১০ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রুল জারি করেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কাস্টমসের মেগা পোর্ট ইনিশিয়েটিভকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে আদালত আমদানিকারকসহ মামলার ১৮ জন বিবাদীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমটি প্রডিউসার নামের জাহাজের অনুকূলে দেওয়া ছাড়পত্র কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন মিথ্যা ঘোষণা দেওয়ার কারণে বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সাঈদ আহমেদ কবির জানান, এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিবাদীরা জাহাজ পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করেন। ওই প্রতিবেদনে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন পেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করি। এরপর আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৭/মেহেদী/রফিক