আইন ও অপরাধ

‘জাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বানিয়ে দিত তারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির চাহিদার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বিতরণ করতো চক্রটি। বিনিময়ে তারা মোটা অংকের টাকা নিতো। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। আটককৃতরা হলেন, মোসলেম মিয়া, শাহ আলম কবির, আশিকুর রহমান ও আব্দুর রহিম। আটককালে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬১২টি জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট; বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯টি নকল সিল, নোটারি পাবলিকের ৩টি অ্যাম্বুস সিল, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ৬১৭টি সিল, ৩টি পাঞ্চ মেশিন, ২টি কম্পিউটার এবং ১টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়। রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এই চক্রটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান। তিনি জানান, গত মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্সির চাহিদার প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এই চক্রটি জালিয়াতি করে আসছিল। আব্দুল বাতেন বলেন, ‘অনেক মানুষ না বুঝে এই চক্রের কথায় টাকা দিয়ে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে। প্রেসে ছাপিয়ে তা চালিয়ে দিত তারা। এতে কোনো ধরনের বারকোড অনুসরণ করা হতো না। একই বারকোডে সব পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি করেছে চক্রটি।’ আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে চাকরি বা অন্য কোনো কারণে বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। মাত্র ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে আবেদন করলেই ২/৩ দিনের মধ্যেই তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস খুলেছে পুলিশ। অনলাইনেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদনের পর থানার ওসি ও এসপির স্বাক্ষরের পর খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। কোনো মামলার দাগী আসামি বা ফৌজদারি মামলা না থাকলে ক্লিয়ারেন্স পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। সেখান থেকে ২/৩ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় চলে আসে। সেখান থেকে পুলিশের মাধ্যমে তা পান আবেদনকারী। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/নূর/শাহনেওয়াজ