আইন ও অপরাধ

ঐশী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীকে হত্যার মামলায় নিহতের মেয়ে ঐশীকে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বাক্ষরের পর ৭৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, তদন্তকালে তাকে কোনো এক ব্যক্তি খারাপ উদ্দেশ্যে কিছু একটা বলেছিল, এ কারণে ঐশী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। রায়ে ঐশীর সাজা কমানোর পাঁচটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এক. সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়াই এবং মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণেই ঐশী রহমান ডাবল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ওই সময় সে অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ছিল। দুই. তার (ঐশী রহমান) দাদি ও মামা অনেক আগ থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার পরিবারে মানসিক বিপর্যয়ের ইতিহাস রয়েছে। তিন. যখন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। সে এ ঘটনার সময় সাবালকত্ব পাওয়ার মুহূর্তে ছিল। চার. তার বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি অপরাধের নজির নেই। পাঁচ. ঘটনার দুই দিন পরই ঐশী স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করে। রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নয়। এটা কার্যকর করলেই যে সমাজ থেকে অপরাধ দূর হয়ে যাবে, তা নয়। অনেক সময় কম সাজাও সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সুস্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৭/মেহেদী/রফিক