আইন ও অপরাধ

আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ: মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ‌্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের পাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ এবং তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আলোচিত বনানী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ সেলিমসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে এনে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করে রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম দিলদার হোসেনকে, উপ-পরিচালক শরিফুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম গুলজার আহমেদকে এবং সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে অপর টিম আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ‌্য পাওয়া যায়।  ধর্ষণের মামলায় ছেলে বন্দি হওয়ার ছয় মাস পর ২৪ অক্টোবর দিলদার ও তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে মুদ্রা পাচার মামলায় কারাগারে পাঠায় ঢাকার আদালত। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গত মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। তার বিচার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তখন দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেনের’ তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা। গত ৮ জুন ও ১২ আগস্ট যথাক্রমে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১০ মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা। মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযোগ করা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেনি। গত মে ও জুন মাসে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ নভেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক